হার্ট অ্যাটাক কি ?
হৃদপেশি সুস্থতার জন্য ক্রমাগতভাবে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সরবরাহ জরুরি । করোনারি ধমনির মাধ্যমে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পেশিতে পোঁছায় । চর্বি জাতীয় পদার্থ , ক্যালসিয়াম , প্রোটিন প্রভৃতি ধমনীর অন্তগার্ত্রে জমা হয়ে বিভিন্ন আকৃতির প্লাক গঠন করে । একে করোনারি অ্যাথেরোমা বলে । প্লাকের বহিঃভাগ ক্রমান্বয়ে শক্ত হয়ে উঠে । এভাবে প্লাক শক্ত হতে হতে চরম পর্যায়ে পোঁছায় তখন এগুলো বির্দীণ হয় । অনুচক্রিকা জমা হয়ে প্লাকের চর্তুদিকে রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে । রক্ত জমাট বাঁধার কারণে করোনারি ধমনির লুমেন ( গহ্বর ) সম্পুর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হৃদপেশিতে পুষ্টি ও অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় । ফলে হৃদপেশি ধ্বংস হয় বা মারা যায় এবং হার্ট অ্যাটাকের মত মারাত্বক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় । হাটঅ্যাটাকের অপর নাম মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন ।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষনসমুহ -
〤 করোনারি ধমনিতে কোলেস্টেরল জাতীয় পদার্থ জমা হওয়া থেকে হাট অ্যাটাকের পরিসমাপ্তি পর্যন্ত অনেক দিন অতিবাহিত হয় । এ সময়ের ভেতরে বিভিন্ন লক্ষণগুলোর মধ্যে নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয় :
〤 বুকে অস্বস্তিঃ বুকের ঠিক মাঝখানে অস্বস্তি হওয়া যা কয়েক মিনিট থাকে , চলে যায় আবার ফিরে আসে । বুকে অসহ্য চাপ , মোচড়ানো , আচড়ান বা ব্যথা অনুভূত হওয়া ।
〤 উর্ধাঙ্গের অন্যান্য অংশের অস্বস্তিঃ এক বা উভয় বাহু , পিঠ , গলা , চোয়াল বা পাকস্থলির উপরের অংশে অস্বস্থি বা ব্যাথা অনুভূত হওয়া ।
〤 ঘন ঘন নিঃশ্বাস - প্রশ্বাস : বুকে অস্বস্থির সময় ঘন ঘন নিঃশ্বাস প্রশ্বাস ঘটে । অনেক সময় বুকে অস্বস্থি হওয়ার অগে ও এমন হয় ।
〤 বমি বমি ভাব : পাকস্থলির অস্বস্থির সঙ্গে বমি বমি ভাব , বমি হওয়া , হঠাৎ মাথা ঝিম ঝিম করা অথবা ঠান্ডা ঘাম বেরিয়ে যাওয়া ।
〤 ঘুমে ব্যাঘাত : ঘুমে ব্যাঘাত ঘটা , নিজেকে শক্তিহীন বা শ্রমহীন মনে হওয়া ।
প্রতিরোধ -
✔️ ঋতুকালীন টাটকা ফল ও সবজি খেতে হবে ।
✔️ বডি - মাস ইনডেক্স মেনে চিকিৎকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে ।
✔️ সঠিক ওজন , রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম ( কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা ) করতে হবে ।
✔️ ধুমপায়ী হলে অবশ্যই ধুমপান ত্যাগ করতে হবে ।
✔️ জীবনভাসে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ করে রাখতে হবে ।
✔️ কোলেস্টেরল , রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে ।
✔️ চিকিৎসকের পরামর্ম অনুযায়ী ঔষধ চালিয়ে যেতে হবে বা বন্ধ রাখতে হবে ।
✔️ বছরে অন্তত একবার ( সম্ভব হলে দুইবার ) সমগ্র দেহ চেকআপের ব্যবস্থা করতে হবে ।