বাঙালি জাতীয়তাবাদের মুক্তির সনদ আখ্যায়িত ছয়-দফা আন্দোলনের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসক গোষ্টীর শোষণ ও অবিচারের বিরুদ্ধে বাঙ্গালিরা ঐক্যবদ্ধ হয় । ইতোমধ্যে ঘটে যাওয়া ভাষা আন্দোলন ও শিক্ষা আন্দোলন থেকে ও এই আন্দোলনের গতিরূপ ছিল ভিন্ন ।
১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলগুলোর নেতৃবৃন্দের এক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ছয়-দফা দাবি উত্থাপন করেন । উক্ত সম্মেলনে ৭৪০ জন প্রতিনিধির মধ্যে পূর্ব পাকিস্তান থেকে আগত ছিলেন মাত্র ২১ জন । এই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা উত্থাপন করলে উপস্থিত ৭৩৫ জন প্রতিনিধি তা তাৎক্ষণিকভাবে নাচক করে দেন । এর প্রতিবাদে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার প্রতিনিধি দল সম্মেলন বয়কট করেন এবং পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে আসেন ।
সিমলা প্রস্তাবের ভিত্তিতে ৬ দফা উত্থাপিত হলে তা ২১ ফেব্রুয়ারি , ১৯৬৬ সালে গৃতীত হয় । ছয়-দফার মাধ্যমে পূর্ববাংলার জনগণের প্রতি পাকিস্তান রাষ্ট্রের চরম বৈষম্যের বিরুদ্ধে মানুষ অবগত হয় । ছয়দফা পূর্বপাকিস্তানের মানুষের অর্থনৈতিক , রাজনৈতিকসহ সকল অধিকারের কথা তুলে ধরা হয় । এটি বাঙ্গালিদেরকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে । বর্তমানে ৭ জুনকে ছয়-দফা দিবস হিসেবে পালন করা হয় ।