২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো ৭ই মার্চের ভাষণকে ডকুমেন্টারি হেরিটেজ বা বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে । ডকুন্টোরি হেরিটেজ নামে ইউনেস্কো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দলিল গুলোকে সংরক্ষণ করে থাকে । বুলগেরিয়ার নাগরিক ইউনেস্কোর প্রথম নারী মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা ৭ মার্চ এর ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করেন । ১৯৯২ সাল থেকে ইউনেস্কো এই গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করে আসছে । এই পর্যন্ত তারা ৭ই মার্চের ভাষণসহ পুরো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ৪২৭ টি নথি বা দলিল “ মেমোরি অফ দ্যা ওয়াল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার ” নামে সংরক্ষণ করেছে ।
৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার রেসসকের্স ময়দানে বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাঙ্গালি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ১৮ মিনিট স্থায়ী ভাষণই ৭ই মার্চের ভাষণ নামে পরিচিত । উক্ত ভাষণটি ছিল বাঙ্গালির স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতির আহ্বান । ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্টী ক্ষমতা হস্তান্তরে বিলম্ব ও অসমর্থ জানায় । অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইহাহিয়া খান ৩ মার্চ জাতীয় পরিষদের আহ্বান করলেও ১ মার্চ অধিবেশন অনির্দিষ্ট কালের জন্য মূলতবি ঘোষণা করে । ফলে পূর্ব বাংলার জনগণ ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং এরই পরিপেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪ বিষয়কে সামনে রেখে ঐতিহাসিক ৭ মর্চের ভাষণ দেন ।
৭ মার্চের ভাষণের বিষয়বস্তু :
১ । চলমান সামরিক আইন প্রত্যাহার ।
২ । সৈন্যদের বারাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া ।
৩ । গণহত্যার তদন্ত করা ।
৪ । নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর ।