বাংলাদেশের ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের জীবনী

 রোহিঙ্গা সমস্যা

সিপাহি মোস্তফা কামাল

বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি মোস্তফা কামাল ১৯৪৯ সালে বরিশালের ( বর্তমান ভোলা ) দৌলতখান থানার পশ্চিম হাজীপুর গামে জন্মগ্রহণ করেন । তার পিতার নাম : হাবিবুর রহমান মন্ডল এবং মাতার নাম মালেকা খাতুন । তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ২ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন । ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল আখাউড়ার দক্ষিণে গঙ্গাসাগরের উত্তরে দরুইন গ্রামে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অভিযান প্রতিহত করতে গিয়ে শহীদ হন । তিনি সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন । তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার মোগড়া গ্রামে সমাহিত করা হয় ।



 রোহিঙ্গা সমস্যা

ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান

বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ২৯ অক্টোবর , ১৯৪১ সালে ১০৯ আগা সাদেক রোড , ঢাকার মোবারক লজে জন্মগ্রহণ করেন । তার স্থায়ী নিবাস নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার মুসাপুরের রামনগর গ্রামে । তার পিতার নাম আবদুস সামাদ ও মাতার নাম সৈয়দ মোবারুকুন্নেসা খাতুন । স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন তিনি পম্চিম পাকিস্তানে কর্মরত ছিলেন । যুদ্ধ শুরু হবার পর দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের বিমান সমর্থন দেবার জন্য পাকিস্তান বিমান বাহিনীর মৌরিপুর মসরুর ঘাঁটি থেকে একটি টি - ৩৩ জঙ্গী বিমান নিয়ে পালিয়ে আসার সময় সহযাত্রী রশিদ মিনহাজের সাথে ধস্তাধস্তির সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে তিনি শহীদ হন । তাঁকে প্রথমে করাচির সমশরুর বিমান ঘাঁটির চতুর্থ শ্রেণীর কবরস্থানে সমাহিত করা হয় । বর্তমানে ঢাকার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে তিনি সমাহিত আছেন ।



 রোহিঙ্গা সমস্যা

সিপাহী হামিদুর রহমান

বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান ২ ফেবরুয়ারী , ১৯৫৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণার ডুমুরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর স্থায়ী নিবাস ঝিনাইদাহ জেলার মহেশপুর থানার খোরদা খালিশপুর গামে । তার পিতার নাম অাক্কাস আলী মন্ডল ও মাতার নাম কায়সুন নেসা । ১৯৭১ সালের ২ অক্টোবর তিনি সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন । যুদ্ধ শুরু হলে একদিনের জন্য তিনি মায়ের সাথে দেখা করতে আসেন । ফিরে গিয়ে ৪ নং সেক্টরে মাধবপুর ইউনিয়নের ধলই সীমান্তে যুদ্ধ করেন এবং পাক হানাদার বাহিনীর সাথে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে ২৮ অক্টোবর , ১৯৭১ সালে শহীদ হন । তাঁকে প্রথমে ত্রিপুরার ধলাই জেলার হাতিমারাছড়া গ্রামের আবদুল আলীর পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয় । বর্তমানে তিনি মীরপুর বুদ্ধিজীবি গোরস্থানে সমাহিত আছেন ।



 রোহিঙ্গা সমস্যা

ইন্জিনরুম আর্টিফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন

জন্ম ১৯৩৫ সালে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী থানার দেওটির বাগপাঁচড়া ( বর্তমান রুহুল আমিন গ্রাম ) গ্রামে । তার পিতার নাম মোহাম্মদ আজহার পাটওয়ারী ও মাতার নাম মোছাঃ জুলেখা খাতুন । তিনি নৌবাহিনীর সদস্য ছিলেন । ১০ ডিসেম্বর , ১৯৭১ সালে বি.এন.এস পদ্মায় মুক্তিবাহিনীর পক্ষে যুদ্ধচলাকালীন ভুলক্রমে ভারতীয় বিমান বাহিনীর গুলির মুখে পড়েন । গুলির কারণে জাহাজে আগুন ধরে জাহাজের গোলাবারুদ ফুটতে শুরু করলে তিনি পানিতে ঝাঁপ দেন । উপকুল এলাকায় পরে রাজাকারের হাতে বুলেটবিদ্ধ হন এবং ধরা পড়েন । রাজাকারদের অমানুষিক নির্যাতনে তিনি শহীদ হন । তাঁকে রূপসা উপজেলায় রূপসা বাসস্টান্ডের পাশে নদীর তীরে সমাহিত করা হয় ।


 রোহিঙ্গা সমস্যা

ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর

ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ১৯৪৮ সালে বরিশাল জেলার বাবুগন্জ থানার রহিমগন্জ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তার পিতার নাম আবদুল মোতালেব হাওলাদার ও মাতার নাম সাফিয়া বেগম । তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন । ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে চাঁপাইনবাবগন্জে সাত নম্বর সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর আঞ্চলিক অধিনায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন । ১৪ ডিসেম্বর পাকবাহিনীর সাথে যুদ্ধকালীন সময়ে পাকবাহিনী পলায়ন করতে থাকে এবং মুক্তিবাহিনী পলায়নরত পাকবাহিনীকে ধাওয়া করতে থাকে । আত্মরক্ষার্তে পাকবাহিনী পাল্টা আক্রমণ করলে পাকবাহিনীর একটি বুলেট কপালে বিদ্ধ হলে তিনি শহীদ হন । ঐতিহাসিক সোনা মসজিদ প্রাঙ্গনে তাঁকে সমাহিত করা হয় ।


 রোহিঙ্গা সমস্যা

ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ

৮ মে , ১৯৪৩ সালে ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার ( সাবেক বোয়ালখালী ) কামারখালীর সালামতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তার পিতার নাম মুন্সী মেহেদী হোসেন ও মাতার নাম মোছাঃ মুকিদুন্নেছা । তিনি বাংলাদেশ রাইফেলস এর সদস্য ছিলেন । রাঙ্গামাটি ও মহালছড়ির সংযোগপথ নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িমারী এলাকার চিংড়ি খালের দু’পাশে নির্মিত প্রতিরক্ষা ব্যূহ অক্ষুন্ন রাখতে গিয়ে হানাদার বাহিনীর সাথে প্রচন্ড যুদ্ধে মর্টারের আঘাতে শহীদ হন । মুক্তিযুদ্ধে তিনি ১ নং সক্টেরে যুদ্ধ করেন । তার কবর রাঙ্গামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারে কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পাশে ।


 রোহিঙ্গা সমস্যা

ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখ

২৬ ফেবরুয়ারী , ১৯৩৬ সালে নড়াইল সদর উপজেলার মহিষখোলা ( বর্তমান নাম নূর মোহাম্মদ নগর ) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তার পিতার নাম মোহাম্মদ আমানত শেখ ও মাতার নাম মোছাঃ জেন্নাতুন্নেসা খানম । তিনি বাংলাদেশ রাইফেলস এর সদস্য ছিলেন । ৮ নম্বর সেক্টরে স্থায়ী টহলে নিয়োজিত থাকার সময় যশোরের গোয়ালহাঁটি এলাকায় ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পাক হানাদার বাহিনী কতৃক ত্রিমুখী আক্রমরণর মুখে পড়েন । সঙ্গীদের বাঁচাতে গিয়ে একাকী পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সঙ্গীদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন এবং শত্রুদের গুলিতে শহীদ হন । তাঁকে যশোরের শর্শা উপজেলার কাশিপুর গ্রামে সমাহিত করা হয় ।


Adnan Mahfuj

‘‘ বাংলাদেশের বীরশ্রেষ্ঠদের নিয়ে আরো তথ্যবহুল ও গঠনমূলক আলোচনা যদি আপনার কাছে থেকে থাকে তাহলে আপনি চাইলে আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন । যা আমরা আপনার নামে আমাদের সাইটে শেয়ার করব । ‘’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *